ভবিষ্যতের মহামারী ঠেকাতে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আর তাই টিকা প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সরকারগুলোকে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমন টিকা তৈরি করা প্রয়োজন যা ভবিষ্যতের মহামারী বা অজানা ভাইরাসকে ঠেকাতে সক্ষম হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ক্রিপস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীদের লেখা এ বিষয়ক প্রবন্ধটি ‘ন্যাচার’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাদের দাবি “ব্যাপক পরিসরে নিরপেক্ষ করা অ্যান্টিবডি” করোনাভাইরাস বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসংখ্য ভাইরাস স্ট্রেইন ঠেকাতে সক্ষম হবে। যা হয়তো ভবিষ্যতে তৈরি হওয়া ভয়ানক কোনও ভাইরাসের বিরুদ্ধেও টিকা গ্রহীতাকে সুরক্ষা প্রদান করবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোভিড-১৯ মহামারী প্রমাণ করে দিয়েছে যে একটি ভাইরাস কত সহজে ছড়াতে পারে এবং মানুষের জন্য কতটা ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও গত ২০ বছরে মহামারীর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে পূর্বের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর একটি কারণ হতে পারে বনভূমি ধ্বংস হয়ে যাওয়া, যার ফলে বন্য জীবজন্তু মানুষের কাছাকাছি চলে এসেছে। এসব বন্য জীবজন্তু থেকে মানুষের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও বেড়ে গেছে বহুগুণ।
তাদের প্রবন্ধে ড. ডেনিস আর. বার্টন এবং এরিক জে টোপোল দাবি করেন, এই ঝুঁকি মোকাবেলার একটি কৌশল হলো এমন টিকা প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিনিয়োগ করা যা অসংখ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে পারে। সার্স-কোভ-২ ভাইরাসটির গঠনের কারণে এর টিকা দ্রুত গতিতে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে, কিন্তু ভবিষ্যতে এটি সম্ভব নাও হতে পারে।
এক্ষেত্রে এমন টিকা তৈরি করতে হবে যা কোনও ভাইরাসের নির্দিষ্ট স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে কার্যকর হওয়ার বদলে তার বৈচিত্র্যপূর্ণ বিভিন্ন স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে।
তবে এর জন্য প্রতিটি ভাইরাসের বিপরীতে গবেষণার জন্য কয়েক বছর ধরে ১০০-২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। গবেষকরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে সেনা সক্ষমতার পেছনে যা ব্যয় করা হয় তার তুলনায় এটি কিছুই না। তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে
টাইমস/এনজে/এসএন